কয়েক মাস ধরে ব্যবসায় সম্প্রসারণের ধারা অব্যাহত থাকলেও এর গতি স্থিতিশীল নয়। গত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে অর্থনীতি সংকোচনের মুখে পড়েছিল, যা পরবর্তী মাসগুলোতে পুনরুদ্ধারের পথে ফিরে আসে।
১৪ জুলাইয়ের আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে দিয়েছিল, যেখানে নারীদের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সামান্তা শারমীন বলেন, এই আন্দোলন আওয়ামী লীগের ‘রাজাকার ন্যারেটিভ’ ভেঙে দিয়েছে এবং নারীদের নেতৃত্বকে সামনে এনেছে। গণ-অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা জাতির মধ্যে একতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি
ধর্মীয় বিভক্তি এড়াতে হলে রাষ্ট্রের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ চরিত্র জরুরি। কিন্তু বোঝা যাচ্ছে, সম্ভাব্য নতুন দলটি আদর্শের প্রশ্নকে দূরে রাখার কৌশল নিয়েছে। আদর্শগত জায়গায় বড় ফাঁক রেখে কি সুসংহত দল গঠন সম্ভব? এবং আদৌ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন সম্ভব কি না, সেটা বড় প্রশ্ন।
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক কবিরুল ইসলাম জয়কে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁও সদরের ভূল্লী থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই হামলা চালানো হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সূচনা ঘটেছিল কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার সেই আন্দোলনে দমন-পীড়ন চালানোয় তা গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পাঁচ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে।
২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের জন্য ঘটনাবহুল একটি বছর। বছরের শুরুতেই নতুন শিক্ষাক্রম এবং বিতর্কিত ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যা দ্রুত আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তোলে। এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খ
২০২৪ সাল বিএনপির জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও অর্জনের মিশ্রণে পূর্ণ ছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা শুরু করলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিলম্ব, দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব, এবং নতুন প্রতিদ্বন্দ্বীদের আবির্ভাব দলটির অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
চলতি বছরের জুনে হাইকোর্টের রায়ে ২০১৮ সালের কোটা বাতিল–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করার পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছায়। এ রায়ের পর কোটা সংস্কার দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনে সরকার বাধা দিলে তা সংঘাত ও সহিংসতায় রূপ নেয়। এতে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটে...
কবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের সন্ত্রাসী উল্লেখ করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিত অনশন শুরু করেছেন আট শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এ অনশন শুরু করেন তাঁরা।
একটু ভেবে দেখুন, গত ১৯ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় বর্ষীয়ান আইনজীবী জেড আই খান পান্না ছুটে চলেছেন একজন আন্দোলনকারী আহাদুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করার জন্য! তিনি বীর বিক্রমে মারধর করছেন আহাদুলকে! ভাবা যায়!
বাংলাদেশে চলতি বছরে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, বন্যা ও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে টানা তিন মাস পোশাক খাতের উৎপাদন ও রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে। চলতি বছরের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে। দেশটিত
মা রেহেনা পারভীন বলেন, ‘প্রিয়’র পাসের খবর আমার জন্য খুশির। কিন্তু খুশি উদ্যাপন যার সঙ্গে করব, সে তো আমার কাছে নেই। আগুনে পুড়ে আমার স্বপ্নটা শূন্য করে দিয়েছে।’
আন্দোলন-অস্থিরতা পেরিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন, বাড়ছে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় প্রশাসন চলছে ঢিলেঢালা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জামশেদুর রহমান (২২)। তবে গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। উপজেলার ফেলনা এলাকার বাসিন্দা শাহ জালালের ছেলে জামশেদ। তিনিই হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চৌদ্দগ্রামের প্রথম শহীদ। তাঁর হত্যার বিচার চায় পরিবার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর পল্লবীতে শেখ মো. সাকিব রায়হান নামের এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের চার নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, আমরা একটা বাধামুক্ত, ভয়মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করব, যেখানে সবার অন্তর্ভুক্তি থাকবে, সমঝোতা থাকবে এবং সবার একসাথে সামনে এগিয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়া শুরু করলে আলাদা করে আর কোনো দাবির কথা বলার প্রয়োজন হবে না।’